কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতার মাধ্যমে নগর জীবনের বা উন্নত সভ্যতার অন্ধকার দিককে তুলে ধরেছেন। যদিও নগর জীবন বা আধুনিক সভ্যতা গ্রাম অঞ্চলের মানুষ থেকে অনেক উন্নত কিন্তু তাদের মধ্যে মিল নেই মায়া নেই বরং সংঘাত এবং দ্বন্ধে পরিপূর্ণ। আর তার বিপরীতে গ্রাম্য জীবনযাত্রা অনুন্নত হওয়া সত্বেও তাদের মধ্যে রয়েছে নিবিড় মিলন ভালোবাসা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা।
১। খেয়া কবিতাটি কার লেখা? উত্তর: খেয়া কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা । ২। রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যগ্রন্থে খেয়া কবিতাটির সংকলিত হয়েছে? উত্তর: রবীন্দ্রনাথের চৈতালী কাব্যগ্রন্থ থেকে খেয়া কবিতাটি সংকলিত হয়েছে। ৩। খেয়া কবিতায় কোন জীবনের কথা ফুটে উঠেছে? উত্তর :খেয়া কবিতায় বৃহৎ অখন্ড জীবনের কথা ফুটে উঠেছে। ৪। কিভাবে নতুন নতুন ইতিহাস গড়ে ওঠে? উত্তর :পারস্পারিক দ্বন্দ্ব সংঘাতের সর্বনাশকে অতিক্রমণ করে মানব সভ্যতায় রচিত হয় এক নতুন ইতিহাস। ৫। হজ যাত্রীরা কোথায় যায় ও কোথা থেকে আসে? উত্তর :নদী পার হয়ে ক্ষেত যাত্রীরা কেউ ঘরে যায় কিংবা কেউ বা ঘর থেকে আসে। ৬। এখানে নদীর তীরের দুটি গ্রাম কি করছে? উত্তর: এখানে নদীর দুই তীরের দুটি গ্রাম পরস্পরের দিকে তাকিয়ে আছে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত 'খেয়া' কবিতাটি 'চৈতালি' কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে। কাব্য কাব্যগ্রন্থের কবিতা গুলি বাংলায় ১৩০২ সালের চৈত্র মাস থেকে ১৩০৩ সালে শ্রাবণ মাসের মধ্যে লেখা হয়েছে । কবি শিলাইদহ ও প্রতিসরের বোটে থাকাকালীন কবিতাগুলি রচনা করেন।